যশোরের শংকরপুরের রাজমিস্ত্রি আজিম হোসেন আকাশ হত্যা মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পিবিআই। অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন শিশু রয়েছে। এছাড়া এ মামলা থেকে একজনকে অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই যশোরের এসআই হাবিবুর রহমান আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন।
অভিযুক্তরা হলেন, শংকরপুর এলাকার ঘেনুর ছেলে সোহান , আলতাফ হোসেন আলতুর ছেলে অনিক হাসান অনি , মেসিয়ার খোকনের ছেলে সাব্বির ওরফে গোল্ডেন সাব্বির , আব্দুল খালেকের দুই ছেলে আব্দুল আলিম ওরফে ছোট আকাশ এবং আব্দুল হাকিম ওরফে সাগর, জামজামিয়া কুয়াদা বাজারের রবিউল সরদারের ছেলে মামুন সরদার নিরব, রায়পাড়ার নজর আলীর ছেলে সোহেল রানা, শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ার জালাল মাতুব্বরের ছেলে ইয়াছিন হোসেন , শিশুরা হলো, শংকরপুর ছোটনের মোড়ের আলতাফ হোসেন আলতুর ছেলে অনিক হাসান অনি, শংকরপুরের নুর ইসলামের ছেলে রাহুল হোসেন ইমন, বাচ্চু মিয়ার ছেলে নয়ন খা ও জসিমের ছেলে রমজান ওরফে ছোট রমজান। এছাড়া এ মামলা থেকে শংকরপুর এলাকার হাকিম শেখের ছেলে সিরাজুল ইসলামকে অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়েছে।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, ভিকটিম আকাশের সাথে অভিযুক্ত সোহান ও অনিকের সাথে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চরম দ্বন্দ্ব চলছিলো। এক পর্যায় তারা আকাশকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দেয়। সোহানসহ অন্যরা আকাশকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই অনুযায়ী গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গোল্ডেন সাব্বির মামুন ও সোহেল শেখ আকাশকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে আনে। এরপর ইসহক সড়কের এক পাশে বসে মোবাইলে গেম খেলতে থাকে। এমন সময় সোহান,ছোট আকাশ, সাগরসহ অন্যরা শংকরপুর বাস টার্মিনালের পেছনে আড্ডা দিচ্ছিল। পরে সেখান থেকে তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে চলে যায় ইসহাক সড়কে। সেখানে যেয়ে প্রথমে সোহান চাকু দিয়ে আকাশের কানের নিচে আঘাত করে। এসময় আকাশের ঘাড়ের মুল রক্তনালী কেটে যায়। পরে জীবন বাচাতে আকাশ দৌড়ে ইদ্রিস আলীর বাড়ির গলিতে যেয়ে আশ্রয় নেন। তার পিছু নিয়ে অভিযুক্তরা সেখানে যেয়ে আকাশকে বেধড়ক মারপিট করে। একপর্যায় আকাশ নিস্তেজ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। অন্যদিকে অভিযুক্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আকাশকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় আকাশের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন ১২ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। পিবিআই এঘটনার সাথে জড়িত কয়েকজনকে আটক করে। এমনকি তারা আদালতে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
খুলনা গেজেট/ টিএ